শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর :
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পল্লীতে যৌতুক না দেয়া ও পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় সাগরী বেগম (২১) নামের এক গৃহ বধুকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম অপু (৩৪) নামের এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলা পাড়া গ্রামের ওয়াহেদ মন্ডলের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা রধীরগঞ্জ হাট রহমতপুর গ্রামের আজিমউদ্দিনের মেয়ে সাগরী বেগমের (২১) সঙ্গে বিয়ে হয় রফিকুল ইসলামের। বিয়ের সময় আজিমউদ্দিন তার মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক হিসেবে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর রফিকুল আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সাগরীকে চাপ দিতে থাকেন। সাগরী এতে রাজি না হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থায় রফিকুল ইসলাম অপুর সঙ্গে তার ভাবির পরকীয়া সম্পর্ক হাতে নাতে ধরে ফেলেন সাগরী। এ ঘটনায় সাগরীকে একবার হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় সাগরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রফিকুল।
এ ঘটনায় আজিমউদ্দিন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম অপু এবং তার মা, বাবা, ভাই ও ভাবিসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রফিকুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্যদের খালাস দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর পরকীয়া ও যৌতুকের বলি হয়েছেন সাগরী বেগম। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট ।